খাগড়াছড়ির প্রাচীন নাম ছিল ‘তারক’। ‘খাগড়াছড়ি’ নামের উৎপত্তি হয়েছিল নল খাগড়ার বন থেকে। খাগড়াছড়ি শহরের বুক চিরে বয়ে গেছে একটি ছড়া নদী। ওই ছড়া নদীর দু’পাড়ে গভীর নল খাগড়ার বন ছিল। এই নল খাগড়ার বন থেকেই ‘খাগড়াছড়ি’ নামের উৎপত্তি।
উপজেলাঃ ৯, থানাঃ ৯, পৌরসভাঃ ০৩, ইউনিয়নঃ ৩৮, গ্রামঃ ১৩৮১, জনসংখ্যাঃ ৫,২৫,৬৬৪ (২০১১ আদমশুমারী)

যোগাযোগঃ
ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি এর দূরত্ব প্রায় ২৭০ কিমি এবং চট্টগ্রাম থেকে দূরত্ব প্রায় ১৪০ কিমি।
ঢাকা থেকে বাসঃ ঢাকার বিভিন্ন কাউন্টার থেকে ছাড়ে রাত ৯ টা থেকে ১১ টার মাঝে।
 

এসিঃ সব গুল বাসই ২:১ সিট এর বিজনেস ক্লাস
১। গ্রীন লাইন পরিবহনঃ ১৬০০ টাকা
২। হানিফ এন্টারপ্রাইজঃ ১৬০০ টাকা 
৩। সেন্টমার্টিন হুন্দাইঃ ১৬০০ টাকা
৪। দেশ ট্রাভেলসঃ ১৬০০ টাকা

নন এসিঃ 
১। হানিফ এন্টারপ্রাইজঃ ৭৫০ টাকা
২। শ্যামলী পরিবহনঃ ৭৫০ টাকা
৩। শ্যামলী NR: ৭৫০ টাকা
৪। শান্তি পরিবহনঃ ৭৫০ টাকা
৫। ইকনো সার্ভিসঃ ৭৫০ টাকা
৬। সেন্টমার্টিন পরিবহনঃ ৮৫০ টাকা (বিজনেস ক্লাস)

চট্টগ্রাম থেকে বাসঃ অক্সিজেন মোড় বাস স্টপ থেকে ছাড়ে। 
এসি বাসঃ
১। শান্তি পরিবহনঃ ৪৫০ টাকা (আনুমানিক)
 
নন এসি বাসঃ 
১। শান্তি পরিবহনঃ ৩০০ টাকা (আনুমানিক)
২। বিআরটিসি বাসঃ ২৫০ টাকা (আনুমানিক)

দর্শনীয় স্থানঃ
১। আলুটিলা গুহা: বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক গুহা। গুহাটিকে আলুটিলা রহস্যময় গুহাও বলা হয়। স্থানীয়রা একে বলে মাতাই হাকড়। আলুটিলা গুহায় প্রবেশের আগে মূল গেটের কাছ থেকে ৪০ টাকা দিয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে হয়।


২। তারেং,আলুটিলাঃ ত্রিপুরা ভাষায় ‘তারেং’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘উঁচু পাহাড়’। প্রায় ১০০০ফুট উঁচু খাগড়াছড়ির আলুটিলা পাহাড়ের উপর “তারেং”( Tareng khagrachari ) যেখান থেকে আপনি পুরো খাগড়াছড়ি শহরটাকে দেখতে পারেন পাখির চোখে।

৩। জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক (ঝুলন্ত ব্রীজ):
 খাগড়াছড়ির আরেকটি পর্যটন সমৃদ্ধ স্থান হর্টিকালচার পার্ক/ঝুলন্ত ব্রীজ। খাগড়াছড়ির জনপ্রিয় এই পার্কটি ২২ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। এখানে রয়েছে একটি ঝুলন্ত ব্রিজ ও সুইমিং পুল। শিশুদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে কিডস জোন এছাড়া কৃত্রিম হ্রদ, পিকনিক স্পট, গেস্ট হাউজ, হলরুম, বার্ডস পার্ক ও অবজারবেশন টাওয়ার রয়েছে। রয়েছে ওপেন স্টেজে নানা প্রোগ্রাম উপভোগের সুযোগ। এবং ফুড জোনে রয়েছে ঐতিহ্যবাহি নানা খাবারের স্বাদ গ্রহণের সুযোগ। পার্কে প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা। প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মোক্ত থাকে।


৪। তৈদুছড়া ঝর্ণাঃ বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় অবস্থিত। ত্রিপুরা ভাষায় তৈদু মানে হল পানির দরজা এবং ছড়া মানে ঝর্ণা।


৫। তকবাক হাকরঃ শব্দটি স্থানীয় ত্রিপুরা ভাষা। এর অর্থ হলো বাদুড়ের গুহা। খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে মেরুং ইউনিয়নের আট মাইল নামক স্থানে অবস্থিত এই গুহাটি।
খাগড়াছড়ি সদর থেকে গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে গুহাটিতে। খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা মূলসড়ক মধ্যবর্তী আটমাইল এলাকা থেকে যেতে হবে এই গুহায়। মূলসড়ক থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার ইটের রাস্তা যাওয়া যাবে গাড়িতে। ইটের রাস্তা শেষ করলেই শুরু হবে দুই কিলোমিটার পায়ে হাঁটাপথ।
পাহাড়ের ভেতরের পথ ধরে হাঁটতে হবে প্রায় ২০মিনিট। এই ২০ মিনিটে কখনো পাহাড় বেয়ে নামতে হবে। কখনো আবার হিম শীতল পানির পথ ধরে হাঁটতে হবে। গুহায় শুষ্ক মৌসুমে পানি না থাকলেও ভরা বর্ষায় পাওয়া যাবে তার বুনো রূপ। তখন তার গা ঘেঁষে নামা নিশ্চিত দারুণ এক অনুভূতি পাওয়া যাবে।
তারপর মাইরুং তৈসা ছড়া দিয়ে ৫/৭মিনিট গেলেই পৌঁছে যাবেন ‘তকবাক হাকর’ গুহার মুখে।


৬। দেবতার পুকুরঃ খাগড়াছড়ি শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে মাইসছড়ি এলাকার নুনছড়ি মৌজায় অবস্থিত সমুদ্র সমতল হতে প্রায় ৭০০ ফুট উপরে ৫ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত হ্রদটিই আসলে দেবতার পুকুর নামে পরিচিত। কথিত আছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের জল তৃঞ্চা নিবারণের জন্য স্বয়ং জল-দেবতা এ পুকুর খনন করেন। পুকুরের পানিকে স্থানীয় লোকজন দেবতার আশীর্বাদ বলে মনে করে। দেবতার অলৌকিকতায় পুকুরটি সৃষ্ট বলে এতো উঁচুতে অবস্থানের পরও পুকুরের জল কখনও শুকোয় না। প্রতিবছর বৈসুকে এখানে তীর্থ মেলা বসে।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর থেকে মাত্র ০৫ কি:মি: দক্ষিণে খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি সড়কের কোল ঘেষে অবস্থিত মাইসছড়ি এলাকার নুনছড়ি মৌজার আলুটিলা পর্বত শ্রেণী হতে সৃষ্ট ছোট্ট নদী নুনছড়ি। মূল রাস্তায় বাস থেকে নেমে কিলো দুয়েক পায়ে হাঁটা পথ। নিজস্ব পরিবহন থাকলে তা নিয়ে আপনি সোজা চলে যেতে পারেন একেবারে পাদদেশে নদীর কাছে।


৭। মায়াবিনী লেক: পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার ভাইবোনছড়ার কংচাইরি পাড়ায় মায়াবিনী লেক (Mayabini Lake) অবস্থিত। খাগড়াছড়ি জেলা শহর থেকে মাত্র ৩০ মিনিট দূরত্বে হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা করার সুযোগ নেই। ৪০ একর উঁচু-নিচু পাহাড়ি জায়গায় ১৫ একর নিসর্গময় লেক নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই মায়াবিনী লেক পর্যটন কেন্দ্র। পাহাড়ের নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্য, বিশাল আকাশ আর লেকের স্বচ্ছ শান্ত জল সহজেই মনকে নির্মল আনন্দে মাতিয়ে তোলে। মায়াবিনী লেকের মাঝখানে ছোট্ট সুন্দর দ্বীপে পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে একটি বিশ্রামাগার। আর লেকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে নৌকার ব্যবস্থা।
মায়াবিনী লেকের কাছাকাছি দূরতে রয়েছে পানছড়ি রাবার ড্যাম, দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ ধর্মীয় উপসনালয় অরণ্য কুটির এবং বেশকিছু দর্শনীয় স্থান। মায়াবিনী লেকে পিকনিকের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। মায়াবিনী লেকের তত্ত্বাবধায়ক অংহ্লাপ্রু মারমা, ফোন: +88 01553 – 669596
খাগড়াছড়ির চেংগী স্কোয়ার থেকে বাস, পিকআপ, জীপ (চাঁদের গাড়ী), মোটর বাইক, সিএনজি কিংবা মাহিন্দ্র ভাড়া করে পানছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে অবস্থিত ভাইবোনছড়া বাজারে আসতে পারবেন। ভাইবোনছড়া বাজার থেকে জনপ্রতি ১০ টাকা অটোরিক্সা ভাড়ায় মায়াবিনী লেকে যাওয়া যায়। খাগড়াছড়ি থেকে ভাইবোনছড়া বাজারের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। খাগড়াছড়ি থেকে ভাইবোনছড়া বাজারে আসতে সিএনজি ভাড়া জনপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা লাগে। (বিঃ দ্রঃ সময়ানুপাতে ভাড়া পরিমান কম-বেশি হতে পারে।)


৮। হাতিমাথাঃ খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পেরাছড়া ইউনিয়নের একটি পাহাড়ি পথকে মায়ুং কপাল বা হাতিমুড়া নামে ডাকা হয়। স্থানীদের কাছে হাতিমাথা খ্যাত এই স্থানের চাকমা নাম ‘এদো সিরে মোন’। আবার অনেকের কাছে এটি স্বর্গের সিড়ি হিসাবেও পরিচিত। বহু নামের অধিকারী হাতিমাথা পাহাড়ের দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে ১৫ গ্রামের বাসিন্দা চলাচল করে। গ্রামবাসীর চলাচলকে সুবিধাজনক করতে হাতিমাথা পাহাড়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কতৃক ৩০৮ ফুট লম্বা লোহার সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে।

হাতিমাথা চূড়া থেকে দূরের খাগড়াছড়ি শহরের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এছাড়া চারপাশের সবুজে মোড়ানো পাহাড়ি প্রকৃতি, মেঘের লুকোচুরি খেলা এবং আদিবাসী জীবনধারার বৈচিত্রময় অভিজ্ঞতা পেতে পর্যটকদের কাছে হাতিমাথা বা হাতিমুড়া ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

খাগড়াছড়ি থেকে হাতিমাথা পাহাড় : হাতিমুড়া বা হাতিমাথা পাহাড়ে যেতে চাইলে প্রথমে খাগড়াছড়ি সদরে আসতে হবে। খাগড়াছড়ি হতে পানছড়ি যাওয়ার পথে জামতলীর যাত্রী ছাউনির সামনে নেমে বাম দিকের রাস্তা ধরে চেঙ্গী নদী পেরিয়ে পল্টনজয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে একটি দোকান দেখতে পাবেন। সবচেয়ে ভাল হয় এখান থেকে গাইড নিয়ে নেওয়া। কারণ প্রথমবার হাতিমাথা পাহাড় যাওয়ার ক্ষেত্রে এই রাস্তা বিভ্রান্তিতে ফেলে দিতে পারে। দোকানের ডান দিকের রাস্তা দিয়ে এগিয়ে দুটি বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে যাওয়ার পর কিছুটা দূরে ডানদিকে ছড়ার পাশ দিয়ে এগিয়ে আরো একটি বাঁশ-গাছের সাঁকো পার হতে হবে। এরপর পথ ধরে যেতে থাকলে একটি পাড়া (বগড়া পাড়া বা লারমা পাড়া) দেখতে পাবেন। আরো সামনে এগিয়ে ছড়া ও একটি বড় টিলা অতিক্রম করে কাপতলা এলাকায় পৌঁছাবেন। কাপতলা থেকে বেরিয়ে ডান দিকে নিচু পথ ধরে এগিয়ে আরো একটি মোড় পাবেন সেই মোড়ের ডান দিকে কিছুটা এগুলেই অসাধারণ হাতিমাথা পাহাড় দেখতে পাবেন। জামতলীস্থ যাত্রী ছাউনি থেকে হাতিমাথা পাহাড় পৌঁছাতে ঘন্টা দেড়েক ট্রেকিং করতে হয়।

৯। রিছাং ঝর্ণা: (সাপ মারা রিসাং ঝর্ণা নামেও পরিচিত) খাগড়াছড়ি জেলায় মাটিরাঙ্গা উপজেলার সাপমারা গ্রামে অবস্থিত একটি পাহাড়ি ঝর্ণা। খাগড়াছড়ি শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১০ কি.মি.। এই ঝর্ণার উচ্চতা প্রায় ১০০ ফুট।
রিছাং ঝর্ণার অপর নাম তেরাং তৈকালাই। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র হতে এই ঝর্ণার দূরত্ব মাত্র ৩ কিলোমিটার। আর খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়ক ধরে ১ কিলোমিটার এগিয়ে গিলেই রিসাং ঝর্ণা দেখতে পাওয়া যায়।

রিসাং ঝর্ণা থেকে মাত্র ২০০ গজ ভেতরে আরও একটি ঝর্ণা রয়েছে। যা রিছাং ঝর্ণা দুই বা ‘অপু ঝর্ণা’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। ভ্রমণকারীরা যেন সহজে ঝর্ণায় পৌঁছাতে পারেন সেজন্য এখানে পাকা সিঁড়িপথ তৈরি করা হয়েছে। প্রায় ৩০ মিটার উচ্চতার পাহাড় থেকে পানি আছড়ে পড়ার মনোরম দৃশ্য ঘন্টার পর ঘন্টা উপভোগ করার মত। আর চাইলে রিসাং ঝর্ণার জলে অনায়াসেই শরীর জুড়িয়ে নিতে পারবেন।    
খাগড়াছড়ি থেকে সরাসরি চান্দের গাড়ি বা সিএনজি ভাড়া নিয়ে রিসাং ঝর্ণা দেখতে যেতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে ঝর্ণা থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে নেমে বাকি পথ হেটে যেতে হবে।

এছাড়া রিসাং ঝর্ণা দেখতে হলে প্রথমে খাগড়াছড়ি সদর থেকে লোকালে বাস বা চান্দের গাড়িতে চড়ে ঢাকার পথে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত  আলুটিলার গুহার সামনে চলে আসুন। আলুটিলা থেকে পরের গন্তব্য প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের হৃদয় মেম্বারের এলাকা। আলুটিলা থেকে হৃদয় মেম্বারের এলাকায় যেতে লোকাল বাসের ভাড়া জনপ্রতি ৫ টাকা। হৃদয় মেম্বারের এলাকা থেকে দুই কিলোমিটার পায়ে হেটে বা বাইকে চড়ে রিছাং ঝর্ণায় যেতে হয়। শুধুমাত্র যাওয়ার জন্য জনপ্রতি বাইকের ভাড়া ৫০ টাকা, আর ফিরে আসার ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা।

আলুটিলা গুহা, বৌদ্ধ মন্দির, দেবতা পুকুর, ঝুলন্ত ব্রিজ এবং রিসাং ঝর্ণা কাছাকাছি দূরত্বে অবস্থিত। তাই সবচেয়ে ভালো আপনি যদি এই সবগুলো জায়গা একসাথে ঘুরে দেখেন। এই জায়গা গুলো ঘুরে দেখতে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লাগবে। গাড়ি ঠিক করার সময় কোথায় কোথায় ঘুরবেন তা বলে নিন। সবগুলো জায়গা ঘুরতে ১০-১৫ জনের চান্দের গাড়ি রিজার্ভ করতে ৫০০০ থেকে ৬০০০ টাকা লাগবে এবং সিএনজি রিজার্ভ করতে লাগবে ১৫০০ থেকে ২৫০০ টাকা। 


১০। পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুঠির খাগড়াছড়িঃ পানছড়ির গভীর অরণ্যে প্রায় ৬৫ একর জায়গা জুড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান শান্তিপুর অরণ্য কুঠির অবস্থিত (Panchari Shantipur Aranya Kutir)। নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশে ভিক্ষুদের ধ্যান করার সুবিধার্থে ১৯৯৯ সালে অধ্যক্ষ ভান্তে ভদন্ত শাসনরক্ষিত মহাথেরো এই কুঠির স্থাপন করেন। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ও বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তি শান্তিপুর অরণ্য অরণ্য কুঠিরের প্রধান আকর্ষণ। ৫০ ফুট বিশিষ্ট নান্দনিক এই বৌদ্ধ মূর্তি নির্মাণে সময় লেগেছে প্রায় ৪ বছর। ছোট ছোট টিলা ও পাহাড়ি গাছ-গাছড়া দিয়ে ঘেরা এই কুঠির আছে সুবিশাল মাঠ, দুইটি কৃত্রিম হ্রদ, অনুষ্ঠান মঞ্চ, ছোট্ট বেড়ার ঘর এবং ভক্তদের উপাসনার বাতিঘর।
ধর্মীয় আচার পালনের সুবিধার্থে সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুঠিরে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
খাগড়াছড়ি থেকে শান্তিপুর অরণ্য কুঠিরের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার। খাগড়াছড়ি জেলা শহর বাসে পানছড়ি এসে জীপ বা মাহেন্দ্র গাড়ী ভাড়া নিয়ে পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুঠির যাওয়া যায়।

কোথায় থাকবেন
১। পর্যটন মোটেলঃ চেঙ্গু নদীর ধারে ব্রিজের কাছে অবস্থিত।
Contact: 01737-444961, 0371-62084-85
AC room: 3500-5500 tk 
Non AC: 2500 tk
Facilities:
Free Wifi,Restaurant, Room Service,Tea & Coffee, Free toiletries,24/hr Support,Hot water,Air condition,Intercom,Mineral water, Television

2. Hotel mount inn: নারিকেল বাগান, কলেজ রোড। ০১৮৬৪৮৩০৮০০
নন এসি কাপলঃ ১০০০-১৫০০
এসি কাপলঃ ১৫০০-২৫০০
নন এসি ফ্যামিলিঃ ১৫০০-২৫০০
এসি ফ্যামিলিঃ ২০০০-৩৫০০
নন এসি ডাবল রুমঃ ২০০০-৩৫০০
এসি ডাবল রুমঃ ৩০০০-৪০০০
সিক্স বেড রুম নন এসিঃ ৩০০০-৪০০০
৩। হোটেল গাইরিংঃ : খাগড়াছড়ি শহরে অবস্থিত এসি, নন এসি, ভিআইপি এসি ও গ্রুপ রুমের সুবিধা সহ শ্রেণী অনুযায়ী ভাড়া ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকা। যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬১০৪১, ০১৮১৫-১৬৩১৭৩
৪। অরণ্য বিলাসঃ শহরের নারিকেল বাগান অবস্থিত এই হোটেলে টুইন বেড এসি ২৫০০ টাকা, কাপল এসি ২০০০ টাকা, সিঙ্গেল বেড এসি ১৫০০ টাকা, টুইন নন এসি ২০০০ টাকা এবং কাপল নন এসি ১৫০০ টাকা ভাড়া । যোগাযোগঃ ০১৮৩৮-৪৯৭২৫৭
৫। গিরি থেবারঃ খাগড়াছড়ি ক্যন্টনমেন্টের ভিতরে অবস্থিত। ভিআইপি এসি রুম ভাড়া ৩০৫০ টাকা। এসি ডাবল রুম ভাড়া ২০৫০ টাকা। সিংগেল রুম যার ভাড়া ১২০০ টাকা। যোগাযোগ : ০১৮৫৯-০২৫৬৯৪
৬। হোটেল ইকো ছড়ি ইনঃ যোগাযোগঃ ০৩৭১-৬২৬২৫ , ৩৭৪৩২২৫

 

Alutila Cave আলুটিলার রহস্যময় গুহা

 

tareng তারেং,খাগড়াছড়ি

 

Jela Porishod জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক (ঝুলন্ত ব্রীজ)

 

toiduchora তৈদুছড়া ঝর্ণা

 

risang রিসাং ঝর্ণা

 

debotar pukur দেবতার পুকুর

 

hatimura হাতিমুড়া

 

panchori পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুঠির